ঢাকা,বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় অবাধ্য ছেলেকে মাদক ব্যবসা ছাড়তে বলায় বাড়িতে হামলাঃ বাবা-বোনকে পিটিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর এলাকায় অবাধ্য ছেলেকে মাদক ব্যবসা ছাড়তে বারণ করায় বাবাকে পিটিয়ে জখম করেছে পাষণ্ড ছেলে। এসময় তাকে নিবারণ করতে চেষ্টাকালে বেদড়ক মারধরে আপন বোন ও বোনের ছেলেকে আহত করা হয়েছে। ঘটনার সময় বসতবাড়িতেও ব্যাপক ভাংচুর করেছে অভিযুক্ত ছেলে। গতকাল বুধবার (৩ মে) সকালে চকরিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আমানচর এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।

আহতরা বাবা মোহাম্মদ কায়কোবাদ (৫৮), বোন রেশমী সোলতানা (৩৪) ও বোনের ছেলে সানজিদ সাকিক রনি (১৮)। আহতদের স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চকরিয়া পৌরসভার আমানপাড়ার বাসিন্দা আহত মোহাম্মদ কায়কোবাদ অভিযোগ করে বলেন, আমার দুই ছেলে সেলিম উদ্দিন ও মোঃ শোয়াইব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সেবন করে আসছে। তাদেরকে আমি এ অবৈধ ব্যবসা ছাড়তে বলায় উল্টো আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। এরই জের ধরে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদেরকে (মা-বাবা) ভরণপোষণ দিচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করে করেন, কয়েকদিন আগে ভরণপোষণ দিতে বলায় আবারও আমার উপর হামলা চালায় দুই ছেলে। আমাকে মারধর করার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করি।

এদিকে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে অবাধ্য ছেলে মোঃ সেলিম উদ্দিন, শোয়াইব উদ্দিনের নেতৃত্বে সহযোগী জাহেদুল ইসলামসহ একদল দুবৃর্ত্ত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে অবাধ্য দুই ছেলে আমাকে বেদড়ক পিটিয়ে জখম করে। ঘটনার সময় আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে আমার মেয়ে রেশমী সোলতানা ও নাতি সানজিদ সাকিক রনি কে মারধরে গুরুতর আহত করে।

আহত রেশমী সোলতানা দাবি করেন , হামলার সময় আমার বাড়ী থেকে ছেলের বিদেশে যাওয়ার রক্ষিত সাড়ে ৩ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

আহত বাবা মোহাম্মদ কায়কোবাদ অভিযোগ করে বলেন, আমার দুই ছেলে পেশাদার অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। তদমধ্যে সিআর ৪৪৬/২০,জিআর ১৪৭/২২ (পেকুয়া) অস্ত্র মামলা, জি আর ১৪৬/২২ ডাকাতি মামলা, জিআর ১৪২/২২ দস্যুতা,জি আর ১৪৩/২৩ চকরিয়া,জি আর ০৭/২০২২ ,লোহাগাড়া, জিআর ০৯/২০২২ কর্ণফুলি থানা, চট্টগ্রাম।

হামলার শিকার বাবা ও বোনসহ পরিবার সদস্যরা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##

পাঠকের মতামত: